সংবাদদাতা, বুড়িচং |
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দখল হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার ও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খালের কচুরিপানা ও জলজ আগাছা অপসারণ, বাঁধ উচ্ছেদের মাধ্যমে খাল দখলমুক্তকরণের গত ২২ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, দায়িত্বে অবহেলা এবং নিয়মিত পানি প্রবাহ রক্ষার উদ্যোগ না থাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। কুমিল্লার উত্তরের সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলায় প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। খালগুলো উদ্ধার ও পানি প্রবাহ সচল হলে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে নৌকা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার খালের অবস্থা পরিদর্শন করেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী মোঃ তানভীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষয়, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম, সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন, ক্রীড়া ও আম্প্যায়ন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, মূলত ফসলি জমি, বাড়িঘরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পানি প্রবাহ সচল রাখতেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২০৩টি খাল রয়েছে। যার মধ্যে রাজাপুর ইউনিয়নেই রয়েছে ১১০টি খাল। বাকশীমুলে ৩টি। বুড়িচং সদরে ২৬টি। পীরযাত্রাপুরে ৩টি। ষোলনলে ৫টি। ময়নামতিতে ৯টি। ভারেল্লা উত্তর ও দক্ষিণে ১৬টি এবং মোকামে ৩০টি খাল রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব খালের অধিকাংশই দখল, ভরাট ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে। কোথাও ঘর-বাড়ি। কোথাও দোকানপাট, আবার কোথাও পাকা স্থাপনা গড়ে উঠে খালের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে।