স্টাফ রিপোর্ট ||
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এতে ২৪টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে, নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক।
অন্য প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার এবং স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ।
রাজনৈতিক দল গঠনের সময়ও ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ এর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তখন এটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাটি মূলত তৈরি হয়েছে ফরাসি বিপ্লব থেকে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়, কোনো দেশে আগের শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে নতুন শাসনকাঠামো বা ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা। আগের শাসনব্যবস্থা বদলে নতুন রাজনৈতিক শাসনকাঠামো গ্রহণ করা।
১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। ওই বিপ্লব চলাকালেই ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে প্রথম রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। ১৮০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম রিপাবলিক বলবৎ থাকে। এরপর ফের রাজতন্ত্র শুরু হয় যা চলে ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ফ্রান্সে দ্বিতীয় রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। এভাবে নানা ধাপে ফ্রান্সের রাজনৈতিক কাঠামোতে বদল আসে।
বাংলাদেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ কেমন হবে তা নিয়ে গত মার্চে এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নাহিদ ইসলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন এনসিপির অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।