আল-আমিন কিবরিয়া
কুমিল্লায় গোমতী নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে চরে ফসলি জমি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর দুই তীরে এই চিত্র দেখা গেছে। যে কারনে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীর চরের কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্ষা মৌসুম প্রায় শেষ। শীতের আগমন পথে। ফলে কমে যাচ্ছে নদীর পানি। যে কারনে নদীগর্ভে ফসলি জমি বিলীনের দৃশ্য ভেসে উঠেছে। জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দেবিদ্বার উপজেলার বারেরাচর ও শিবনগর এলাকা। এসব এলাকায় ভাঙ্গন নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ছুঁই ছুঁই।
নদীর দুই পাড়ের মানুষের অভিযোগ, নির্বিচারে গোমতী নদীর চর থেকে মাটিকাটায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীর চর থেকে মাটিকাটা বন্ধ না করা গেলে এই সমস্যা আরো ভয়াবহ রূপ নিবে। শীতের শুরু থেকে মাটিখেকোরা চরে মাটি কাটা শুরু করে দেয়। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ।
বুড়িচং উপজেলার মোতাহার হোসেন। গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, গাঙ্গের লগে জমিন, মাঢি কাইট্টা এমন অবস্থা করছে। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। আগে এই নদীর চরে আমরা বিভিন্ন রকমের শাকসবজি চাষ করতাম। বহুত ফসল হইত। এখন জমিনই নাই। নদীর যখন পানি বারা ছিল, তখন ভাঙ্গন বোঝা গেছে না। পানি কমায় এখন ভাঙ্গ বোঝা যায়।
দেবিদ্বার পৌর এলাকার ঝরণা আক্তার বলেন, নদী পার ভেঙে প্রায় বাঁধের সাথে লেগে গেছে। যে জায়গায়টা ভেঙে গেছে, এখানে বাড়ি-ঘর ছিল, কবরস্থান ছিল। সব চলে গেছে গাঙ্গের মধ্যে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডেরে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুল লতিফ খোলা কাগজকে বলেন, যেসব এলাকায় নদীর তীর ধসে পড়ছে, আমরা খুব শীঘ্রই মেরামত করার।
ছবি- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার শিবনগর এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে চরে ফসলি জমি। যে কারনে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীর চরের কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।