
প্রতিনিধি, দেবিদ্বার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়ার অপসারণ ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। একই দিন বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুর ও বিকেলে ভানী ইউনিয়নে।
অভিযুক্ত হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুর রাজ্জাক রুবেল ও স্কুলছাত্র সাব্বির হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। প্রায় চারমাস কারাবাসের পর সম্প্রতি তিনে জামিনে বের হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে কয়েক শত নারী-পুরুষ জালাল চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন হত্যার মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় আবারও ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছেন।
একই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের আটজন মেম্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, “চেয়ারম্যান জালাল আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পরিষদে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। এলাকার উন্নয়ন না করে বরাদ্দকৃত টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন। হত্যা মামলায় জড়িত থাকার পরও জামিনে এসে পুনরায় দাপট দেখাচ্ছেন। তাই তার অপসারণ চেয়ে আমরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছি।”
অনাস্থা দেওয়া মেম্বাররা হলেন—মনিরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, আবদুল হাকিম, বিল্লাল হোসেন, ফয়জন নেছা, গিয়াস উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন, মনিরুজ্জামান ফরাজী, হুমায়ুন কবির বকুল, শুভ হাজারী, মো. শফিক ভূঁইয়া, আ. আউয়াল সরকার, ছোটন ভূঁইয়া, আলম সরকার, সুমন হাজারী, আব্দুল মালেক মাস্টার, ফয়েজ খানসহ অনেকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমি তিন দিনের প্রশিক্ষণে দেবিদ্বারের বাইরে রয়েছি। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে অনাস্থা দেওয়ার বিষয়ে এক মেম্বার আমাকে ফোনে জানিয়েছেন।”