মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

দেবিদ্বারে শতভাগ পাশ করা কলেজে এবার পাশের হার ৫৩.৪

  • আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৩ দেখেছেন :

প্রতিনিধি, দেবিদ্বার

দি রয়েল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ। কুমিল্লার দেবিদ্বারের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার এইচএসসিতে এই কলেজে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। যা কলেজটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এমন ভরাডুবি হয়নি।

এবছর কলেজটিতে পাশের হার ৫৩.৪। অথচ ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৯৯.৩। আগের বছর ২০২৩ সালে পাশ ছিল শতভাগ। এছাড়াও এবছর ২৩০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ১২২। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩জন।

কলেজটিতে এমন ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে উপজেলাজুড়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে। এমন ফলাফলের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের দাবি, এ কলেজে ফলাফল বিপর্যয়ের একটি বড় কারন কলেজের পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তোফায়েল হায়দারকে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর মব সৃষ্টি করে কলেজ থেকে বের করে দেয় শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের একাংশ। এসব বিশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভেঙে পড়ে কলেজের শিক্ষার মান। যে কারণে এ বছরে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। কিন্তু কলেজটি দেবিদ্বারসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের কাছে ভালো ফলাফলের জন্য পরিচিত ছিল।

নাম না প্রকাশের শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতিহাস ও সংস্কৃতি থেকে পাশ সামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষিকা বর্তমানে এ কলেজের বাংলা প্রভাষক। ম্যানেজমেন্ট থেকে আসা আব্দুল হালিম ক্লাস করায় ফিনান্স, ব্যাংকিং ও বীমা। এছাড়াও কাজী মহিউদ্দিন হাসান নামে একজন বুয়েট পড়ুয়া এ কলেজ ক্লাস নেন কেমিস্ট্রি। তবে তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন প্রাইভেট নিয়ে।

কলেজ থেকে বের করে দেওয়া দুজন শিক্ষক বলেন, আমরা কলেজটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছিলাম। কিন্তু কলেজের বর্তমান পরিচালনা পরিষদ আমাদের একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এ কলেজে যে কেমিস্ট্রি পড়ায় তার সার্টিফিকেট আছে কি না সন্দেহ আছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে একাধিকবার জানিয়েছেন এ বিষয়ে। আমাদেরকে কলেজে নেওয়ার কথা থাকলেও, তারা নিচ্ছে না। ব্যস্ততা দেখায়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজুল হাসান সরকার বলেন, দেবিদ্বারের মধ্যে আমরা তৃতীয় হয়েছি। পরীক্ষার হলগুলোতে খুব কড়াকড়ি অবস্থান ছিল।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি দেবিদ্বারে নতুন যোগদান করেছি। আসলে কি কারনে এ কলেজের এমন ফলাফল, বিষয়টি আমার জানা নেই। তাদের সাথে বসে খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনন্য ক্যাটাগরির সংবাদ
© All rights reserved © Comillakantha.com
Theme Customized By Mahfuz