কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে তলানীতে।
এবছর ফলাফল ভরাডুবি হয়েছে ইংরেজি ও উচ্চতর গণিতে। পাস এবং জিপিএ-৫ এর হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭০৭ জন। এরমধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭৪৯, ছেলেরা জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৯৫৮ জন। এছাড়াও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে শতভাগ পাস করেছে ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে। ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামছুল ইসলাম  সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
চলতি বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৫৭ হাজার ৫২৪ জন এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৫২। পাশ করে মোট ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। মেয়ে পরীক্ষার্থী পাশ করে ৩০ হাজার ৭০১, ছেলে পরীক্ষার্থী পাশ করে ১৭ হাজার ৯৫৬ জন। মেয়েদের পাশের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ছেলেদের পাশ ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৪, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাসের হার ৪৪ দশমিক ৮ এবং মানবিক শাখায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৯০।
এদিকে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, আর পিছিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের মোট পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২। পাসের হার সবচেয়ে কম কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ৪৮ দশমিক ৮৬।
কেন এ ফল বিপর্যয়?  এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন  বলেন, এ বছর ইংরেজি ও উচ্চতর গণিতে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছে।  ইংরেজিতে পাস করেছে ৬৫ দশমিক ২৮ এবং উচ্চতর গণিতে পাস করেছে ৬০ দশমিক ৪৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শতভাগ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত  হয়েছে। এছাড়া সকল ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করায় ভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এতেও তাদের (পরীক্ষার্থী) মাঝে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।