
আব্দুল গাফফার সুমন, মনোহরগঞ্জ //
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারীকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। উপজেলা আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তাহমিদ বিন ফারুকের নেতৃত্বে উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা উপজেলার হাসনাবাদ ইউপির মানরা এলাকা থেকে আড়াইশ গ্রাম গাঁজাসহ কারবারি মনির হোসেন (৫০) কে আটক করে। সে উপজেলার হাসনাবাদ ইউপির হাসনাবাদ গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। পরে রাত প্রায় সাড়ে আটটায় উপজেলার খিলা ইউপির দিশাবন্দ এলাকা থেকে ইয়ামিন (২৫) কে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৯ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়ামিন উপজেলার মৈশাতুয়া ইউপির হাটিরপাড় গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার হাসনাবাদ ইউপির হাসনাবাদ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়াসিম (৩৬) কে ১শ ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। তার বাড়ি নোয়াখালি জেলার চাটকিল থানাধীন রুদ্র রামপুর গ্রামে। সে ঐ গ্রামের মৃত সুলতান পাটোয়ারির ছেলে। এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় দশটায় উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউপির শান্তির বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোমান হোসেন (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১শ ৬৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার খেড়িহর গ্রামে। সে ঐ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তাহমিদ বিন ফারুক বলেন অভিযান শেষে মাদকসহ আটককৃত আসামীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন পূজা উপলক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে। আইন—শৃঙ্খলা বিষয়ে সর্বদা সতর্কতাবস্থায় রয়েছে সেনাবাহিনী।
মনোহরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে বলেন এসব ঘটনায় গ্রফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।