কুমিল্লায় লবণের ট্রাকে সাড়ে ২১হাজার ইয়াবা বহনের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে ২বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই রায় প্রদান করেন।
মামলায় প্রধান আসামি চালক মোঃ সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী মোঃ আয়নাল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মোঃ আয়নাল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি মোঃ সাদ্দাম হোসেন হাজারী পলাতক ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ ইউসুফ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি লবণ বোঝাই ট্রাককে (রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-২৯১১) থামানোর সংকেত দিলে ট্রাকের চালক মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী মোঃ আয়নাল ইসলাম পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে চালক সাদ্দাম হোসেনের প্যান্টের পকেট এবং চালকের আসনের নিচ থেকে মোট ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস এবং সহযোগী আয়নাল ইসলামের পকেট থেকে ১,৪৫০ (এক হাজার চারশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
আদালত সূত্র জানায়, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক পলাতক আসামি মোঃ সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, আদালতে উপস্থিত আসামি মোঃ আয়নাল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ ইউসুফ আলী এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই রায় মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা পলাতক আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করব।