
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিতর্কের পর ‘নতুন’ লোগো সরিয়ে নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যদিও জামায়াত জানিয়েছে, যে লোগোটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তা চূড়ান্ত নয়। কয়েকটি লোগো নিয়ে আলোচনা চলছে। এর একটি চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
গত রোববার রাজধানীর বসুন্ধরার কার্যালয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধি দলের আলাদা দুটি বৈঠকে নতুন লোগো দেখা যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে সোমবার জামায়াত আমিরের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে সেই লোগো দেখা যায়নি।
৯ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত লোগো পরবির্তনের আলাপ চলছে জামায়াতে। নতুন লোগোতে সবুজ পতাকার মাঝে কিতাবের ওপর উদীয়মান সূর্য রয়েছে। তার ওপর রয়েছে কলম। কলমটি ব্যবহৃত হয়েছে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার দণ্ড হিসেবে। কিতাবের দুই প্রান্ত থেকে একটি অর্ধ পরাবৃত্ত রয়েছে। যা প্রবেশ দুয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে লোগো পরিবর্তন করে জামায়াত। আগের লোগোতে, গম্ভুজের মধ্যে আল্লাহর শব্দের মাঝে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা এবং নিচে লেখা ছিল পবিত্র কোরানের আয়াত আকিমুদ দ্বীন (দ্বীন কায়েম কর)। ওই বছরের ৭ জুন বাংলাদেশের পতাকার আদলে লাল-সবুজ আয়তক্ষেত্রে, ওপরে লাল রঙে বাংলাদেশ এবং নিচে সবুজ রঙে লেখা ছিল জামায়াতে ইসলামী। সেবারও লোগো পরিবর্তনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক জানানো হয়নি। তখন কিছুদিন দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লাল-সবুজ লোগো ব্যবহার করা হত। পরে আর কোনো লোগো ব্যবহার করত না। জামায়াতের সর্বশেষ মুদ্রিত গঠনতন্ত্রে শুধু দলের নাম রয়েছে। লোগো নেই।
তবে জামায়াতের সভা-সমাবেশের ব্যনারে ২০১৬ সালের আগের লোগো ব্যবহার করা হয়। সংবাদমাধ্যমও এই লোগোটি ব্যবহার করে জামায়াত সংক্রান্ত সংবাদে।
দলটির একাধিক নেতা সমকালকে বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো লোগোই ব্যবহার করা হয় না। সামাজিক মাধ্যমে ধূসর রঙের মধ্যে সবুজ রঙের বৃত্ত রেখার মধ্যে কালো রঙে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম লেখা লোগো ব্যবহার করা হয়। রোববার সামনে আসা লোগোও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
নতুন লোগো সামনে আসার পর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে নির্বাচনে সুবিধা পেতে লোগো থেকে আল্লাহ এবং আয়াত বাদ দিয়েছে জামায়াত। যদিও এ বক্তব্য নাকচ করেছেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি সমকালকে বলেন, বেশ কয়েকটি লোগোর নকশা প্রাথমিকভাবে করা হয়েছে। কোন লোগোটি ব্যবহার করা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে। যারা সমালোচনা করছেন, করুন। জামায়াতের লোগো কী হবে, তা জামায়াতই ঠিক করবে। জনগণ গ্রহণ করবে বলে আশা করি।