কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানদার রতন মজুমদার। তিনি ক্যালকুলেটরের থেকে কম সময়ের মধ্যে হিসাব-নিকাশ শেষ করতে পারেন। রতনের হিসাব নিখুঁত ও দ্রুত। যেজন্য রতনের কাছে গণনা যন্ত্রও হার মানবে।
রতন মজুমদার উচ্চশিক্ষিত নন। ছোটবেলা থেকে ব্যবসায়ী মনোযোগ ছিল তার। প্রতিদিন তার দোকানে বিক্রি হয় লক্ষ লক্ষ টাকার মুদি মাল। দীর্ঘদিন এই মুদি ব্যবসার কারণে ধীরে ধীরে তিনি পরিনত হয়েছেন জীবন্ত ক্যালকুলেটরে।
রতনের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। কেউ পণ্য কিনতে এসেছেন। কেউ আবার দাঁড়িয়ে দেখছেন তার প্রতিভা। একজন ক্রেতার ক্রয় করা পণ্য রতন ব্যাগে দিচ্ছেন আর মুখে হিসেব করে ফেলছেন। তার এ প্রতিভা দেখে মুগ্ধ ক্রেতারা।
রতনের দোকানের ক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, রতন দাদা নির্ভুলভাবে দ্রুত হিসাব করে ফেলেন। যা দেখে আমাদের কাছে ভালো লাগে।
আরেকজন ক্রেতা আরিফ আহমেদ বলেন, আমি একদিন তাকে পরীক্ষা করেছিলাম। তার হিসেবে কোনো ভুল হয় কিনা। কিন্তু পরে হিসেব করে দেখলাম তিনি নির্ভুল।
রতন মজুমদার বলেন, আমি ব্যবসা করি ৩৫ বছর। প্রথমে কেরোসিন বিক্রি করতাম। তারপরে পান, সিগারেট, চা। আস্তে আস্তে মুদি দোকান দিয়েছি। পড়ালেখা বেশি দূর করতে পারিনি। মাত্র অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। মুদি দোকান দিয়েছি প্রায় ২৫ বছর।