আল-আমিন কিবরিয়া
এমপি মন্ত্রীদের স্বজনপ্রীতি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, আপনারা জীবনে দেখছেন একজন কর্মীকে এমপি কখনো কইছে? তুই যেহেতু এতবছর আমার জন্য কষ্ট করছস! এবার এমপি নমিনেশন আমি তরে আইনা দেয়ার জন্য চেষ্টা করব। একবারও বলে নাই। হয় তার ভাইয়ের আনে। নাইলে তার পুতেরে আনে। বউ থাকে বউরে আনে। নাইলে তার মাইয়ারে আনে। এই করানে আমরা আম জনতা আমরা দুর্ভোগে পরব। মন্ত্রী-এমপিদের কিচ্ছু হবে না। তাদের ফ্যামিলির কিচ্ছু হবে না। আপনি যারে নেতা বানান, খেয়াল করবেন ওই নেতার পরিবার কই থাকে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে দেবিদ্বার উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত ‘উঠানে রাজনীতি’ নামে একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এমপি হইয়া এলাকায় এসে কইব! স্কুল কইরা দিব, এডা কইরা দিব, ঐডা করে দিব। কিন্তু? এমপির পোলায় থাকে বিদেশে। ২০-৩০ বছর পর দেখা যায়, এই এমপির কারণে অন্যান্য পোলাপানের পড়ালেখা নষ্ট হয়েছে। দেখা যায় এমপির পুতে দেশে আইসা আবার নেতায় অইয়া যায়গা। যে পথে ঘুরে নাই, রাস্তায় যায় নাই, সে এমপির পোলা হয় আবার এমপি হয়ে যায়। মাঝখান দিয়া এমপির পিছে ঘুরা পোলাপাইনডির জীবন নষ্ট হয়।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব এস.এম সাইফ মোস্তাফিজ এবং যুগ্ম মুখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি লেখক ও চিন্তক, ডা: মাহমুদা আলম মিতু, দেবিদ্বার উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক জামাল মোহাম্মদ কবির প্রমুখ।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, আন্দোলনে কয়টা এমপি মন্ত্রীর পোলা মারা গেছে। একটাও মারা যায় নাই। মারামারিতে কোন এমপি মন্ত্রী পোলা যায়না। এসব বিষয় আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।
‘উঠানে রাজনীতি’ নামের এ সভায় গিয়ে দেখা যায়, এ সভা যেন এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। একটি বাড়ির উঠুনে খোলা আকাশের নিচে আয়োজন। রাতের সভায়স্থল আলোকিত করেছে কেরোসিনের কুপি৷ অতিথিসহ সবাই বসেছে পাটিতে। এর মধ্যে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।