ঢাকা অফিস :
হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেছেন। এর আগে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানে তার বাসভবন থেকে রওনা হয়ে রাত ৮টা ২০ মিনিটে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাত পৌনে ১২ টার দিকে বাসায় পৌঁছান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকার রাতে বলেন, ম্যাডাম বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। বেশকিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়েছে। মেজর কোনো জটিলতা নেই। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয় মাঝেমধ্যে।
এর আগে ২৩ জুলাই খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের জন্য যে মেডিকেল বোর্ড রয়েছেন তাদের পরামর্শে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, আবার বাসায় ফিরে এসেছেন তিনি। মেডিকেল বোর্ডের জরুরি প্রয়োজনে কিছু পরীক্ষা করানো প্রয়োজন ছিল, সেগুলো করতেই উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসাধীন আছেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
চলতি বছরের শুরুতে তিনি লন্ডনে গিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চার মাস কাটিয়ে ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। সবশেষ গত ১৯ জুন গভীর রাতেও তিনি একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আসেন।
দেশে ফেরার পর থেকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হুইলচেয়ারের সাহায্য ছাড়া তিনি একাই হাঁটাচলা করছেন। সিনিয়র নেতা ও আত্মীয় স্বজনরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করছেন। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের খোঁজখবরও রাখছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা রোস্টার করে বাসায় গিয়ে ম্যাডামকে দেখে আসছেন। আমি প্রতিদিনই যাচ্ছি। ম্যাডাম ভালো আছেন। বিশেষ করে মানসিক অবস্থাটা খুবই ভালো আছে। দ্য লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের পারমর্শ অনুয়ায়ী চিকিৎসা চলবে। তিনি মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন।