মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি.
মনোহরগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থী তাহমিদ হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন
মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ ইউপির জিনারাগ অহিদুল আলম ইসলামিয়া দারুল কোরআন ও এতিমখানা মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী তাহমিদ (৮) হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে এগারোটায় মাদরাসার সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকার সর্বস্তরের জনতা। শ্বাসরোধ করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে সম্প্রতি ময়না তদন্ত রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে আসার পর ফুঁসে উঠেছে ঐ এলাকার মানুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাসনাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মুনাফ, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও মাদরাসার তত্বাবধায়ক ফরিদ উদ্দিন শিবলু, মাদরাসার মোহতামিম আবু ইউসুফ প্রমুখ। হত্যায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবী জানান বক্তারা।
তাহমিদের পিতা মাইন উদ্দিন বলেন আমার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে ময়না তদন্ত রিপোর্টে এটার প্রমান মিলেছে। কিন্তু হত্যার ৪ মাসেও আসামী গ্রেফতার হয়নি। যতবার প্রশাসনের কাছে গিয়েছি ততবারই তারা আশার বাণী শুনিয়েছে। আমি গরিব মানুষ, আমার একমাত্র ছেলেকে আলেম বানাতে মাদরাসায় পাঠিয়েছিলাম বিনিময়ে ছেলের লাশ পেয়েছি। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউপির জিনারাগ অহিদুল আলম ইসলামিয়া দারুল কোরআন ও এতিমখানা মাদরাসার ছাদ থেকে নূরানি বিভাগের ছাত্র তাহমিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে এবং ঐ মাদরাসার নূরাণী প্রথম জামায়াতের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মাইন উদ্দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে ওইদিনই মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার শিক্ষক রেদোয়ান কে সন্দেহজনকভাবে আটক করে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ বিষয়ে কুমিল্লার সহকারি পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) সোমেন মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে তাকে একাধিকবার রিমান্ডে আনা হয়েছে। এ ঘটনার প্রকৃত আসামী সনাক্তকরণে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেহেতু নিহতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে সে প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে.