স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা নগরীর পাশেই চাঁনপুর এলাকা। তবে এলাকাকাটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশের (কুসিক) আওতায় না থাকায় দীর্ঘদিন ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। সেখানে বছর জুড়েই জলাবব্ধতার ভোগান্তি পড়তে হতো বাসিন্দাদের। সেই দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার নিরসনে এবার উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকার জ্বালাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। খাল খনন কর্মসূচিতে অন্তত ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, কুমিল্লা নগর ভবনের এক কিলোমিটারের মধ্যে এ এলাকাটি সিটির সাথে না রেখে রাজনৈতিক কারণে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হলেও এ এলাকাটি রাখা হয় পাঁচথুবী ইউনিয়নের সাথে। তাই সিটির কাছাকাছি বসবাস করেও গত ৩০ বছর যাবত কুমিল্লা শহরের চাঁনপুর এলাকায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি নিয়েই আমরা বসবাস করছি। সামান্য বৃষ্টি হলেই সারা বছর জলাবদ্ধ থাকছে পুরো এলাকা। নেই পানি চলাচলের ড্রেন। খাল থাকলেও তা ভরাট হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই।
এদিকে স্থানীয়দের ভোগান্তি নিরসনে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেকের উদ্যোগের পাশাপাশি কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা খাল খননের উদ্যোগ নেয়। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, চাঁনপুর এলাকা থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ার আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। ধারাবাহিকভাবে এ কাজে অংশগ্রহণ করছে অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবী এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত খাল খনন কর্মসূচির অংশ হিসেবেই কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেক এর পাশাপাশি কাজ করছে। জেলার অন্যান্য এলাকায়ও প্রশাসনের নির্ধারিত বিভাগের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবীরা পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করবে।
রাতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভুইয়া বলেন, এলাকাটি সিটির বাইরে। সামান্য বৃষ্টির পানি অপসারণের কোন সচল পথ নেই এই এলাকায়। প্রাচীন কুমিল্লা পৌরসভা থেকে মাত্র ৫৩.০৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাবিত ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটির কার্যক্রমের অনুমোদন পেলে চাঁনপুরসহ আশপাশের এলাকাও সিটিতে যুক্ত হবে। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত ওই এলাকার জলাবব্ধতার সমস্যা আর থাকবে না। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খাল খননে সিটি কর্পোরেশন থেকে মেশিনারিজ সরবরাহ করে সার্পোট দেয়া হচ্ছে।