
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা-১০ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ’৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের তুখোড় ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও উদ্যোক্তা গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন। শিক্ষা, যোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে তিনি ক্রমাগত আলোচনায় আসছেন। মনোনয়ন পেতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নির্বাচনী এলাকার বিএনপিপ্রেমীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে তিনি সহসা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে গণ-সংযোগ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করবেন।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন (জি.এম ফারুক স্বপন) মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম উত্তর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মোল্লা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা (পোষ্টাল বিভাগ), মাতার নাম: তাহেরা মালেক ( রত্ন গর্ভা মা পদক প্রাপ্ত)।
লাকসাম নশেতপুর, চৌরাইশ ও বেরনাইয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যয়নকালীন থেকে গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক স্বপন অদম্য মেধাবী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড হতে ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি দেশের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় হতে ১৯৯০ সালে পরিসংখ্যানে বিএসসি অনার্স, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ১৯৯১ সালে পরিসংখ্যানে এমএসসি পাশ করেন। তিনি ২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমবিএ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৫ সালে আইন বিভাগে এলএলবি পাশ করেন।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপনের পরম শ্রদ্ধেয়া মাতা তাহেরা মালেক রত্নগর্ভা মা পদক পুরস্কারপ্রাপ্ত। তাঁর ভাই এ এম মোতাহারুল ইসলাম তপন, কুমিল্লা ব্রিট্রেনিয়া ইউনিভার্সিটির ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এবং সাইফুল ইসলাম লন্ডনে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত , বোন খালেদা পারভীন ও কাউছার পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁর ভাই যুক্তরাজ্যে (লন্ডন) প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দাম্পত্যজীবনে তারা খুবই সুখী পরিবার। তাঁর কন্যা রিদিতা তাহসিন অদিতি হলিক্রস কলেজ ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে অস্ট্রেলিয়ায় আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত এবং পুত্র আহনাফ ওয়াজী আইমান যুক্তরাজ্যে (ম্যানচেস্টার) অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যয়নরত।
ও ছোট কন্যা তাশফা তাহসিন আরওয়া।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন মাধ্যমিকে কুমিল্লা হাই স্কুল এ অধ্যয়নকালীন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার ও হেন্ডসেক করার পর সেই সৌভাগ্য স্মৃতি নিয়ে এর ১৯দফা কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্রজীবনে যখন যেখানে ছিলেন সেখানে তিনি নেতৃত্বগুণে জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এ অধ্যয়নরত অবস্থায়।
ব্যক্তিগত সততা ও বুদ্ধিদীপ্ত ছাত্র নেতৃত্বের গুণে গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে খুবই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। জনপ্রিয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন দায়িত্ব লাভ করেন। ভর্তি হওয়ার পর সেই বছর ই বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ইসি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনি ১৯৮৯-১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯১ চাকসু এর শাহ আমানত হল সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা , ১৯৯০-১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১-১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরামের সাংগঠননিক সম্পাদক,
রোটারী ক্লাব অব ঢাকা ফোর্ট এর বিভিন্ন দায়িত্ব পালন সহ ২০২৪-২০২৫ রোটারী ক্লাব অব ঢাকা ফোর্ট এর প্রেসিডেন্ট, ২০২৪-২০২৫ ফ্যাড ক্যাব (ফরেন এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ) এডহক কমিটির সদস্য এবং ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্ট ক্লাব ঢাকা এর আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও পরে কাউন্সিলে ২০২৫-২০২৭ এর জন্য চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্ট ক্লাব, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন দেশ-বিদেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান “এফসিলন ইন্টারন্যাশনাল”( বিদেশে উচ্চশিক্ষা)এর সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গোমতী বিজনেস লাইন এর সিইও,রুট গ্রুপ অব কোম্পানীজ এর সাবেক পরিচালক, We4u এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্রিটিশ এডুকেশন সেন্টার (ofqual অনুমোদিত) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও বিদেশে পড়াশোনায় সার্বিক সহযোগিতায় তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছেন।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন বিভিন্ন, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে মানবিক কল্যাণে ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি মনোহরগঞ্জের গোবিন্দপুর বায়তুল মালেক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি, গোবিন্দপুর মডেল একাডেমীর সভাপতি, তাহেরা-মালেক ফাউন্ডেশন এর সভাপতি। তিনি ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচি, স্যানিটেশন, নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবেশ সচেতনতামূলক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, যুব উন্নয়ন ডিজিটাল স্কিলস ট্রেনিং, নারী ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রেখে আসছেন।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, উজ্জ্বল ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী এবং মানুষের কল্যাণে সদা নিবেদিত। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন সমাজ সেবার মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব। আর এ বাণীটিকে হৃদয়ে ধারণ করে তিনি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সর্বস্তরের মানুষের সেবা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সময়ের দর্পণ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমার প্রাণপ্রিয় কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের বিএনপি প্রেমীসহ সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারুণ্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের আশীর্বাদে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপি’র মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আসনটি দলকে উপহার দিব-ইনশাআল্লাহ। আর সকলের ভালোবাসায় আমি এমপি হলে সুদুর প্রসারী কিছু পরিকল্পনার কথা লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে উন্নয়নের মোড়কে বদলে দিব।
তিনি বলেন- আমি লাকসামকে জেলা ঘোষণা, লাকসামকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, দুই উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণ এবং সর্বস্তরের মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, মনোহরগঞ্জ পৌরসভা স্থাপন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে শিল্পাঞ্চল স্থাপনের পাশাপাশি দুই উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ নিব।
স্থানীয় রাজনীতিতে মনোনয়নের জন্য নেতায়-নেতায় গ্রুপিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ দলের নেতৃত্ব এবং মনোনয়ন লাভের জন্য প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। সারাদেশের বিভিন্ন আসনের মতো কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনেও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। যত দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং-ই থাকুক না কেন আসন্ন নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করবে বলে আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন- রাজনীতিতে ব্যক্তি বিশেষের দ্বন্দ্ব, গ্রুপিং থাকতেই পারে। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে এবং ধানের শীষ প্রতীকের সম্মান রক্ষার্থে সকলকে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসী আমার সুন্দর আগামীর স্বপ্নসারথী। এখানকার প্রতিটি মানুষ আমার আপনজন। আমি চাই এই অঞ্চলের প্রতিটি পরিবার উন্নয়নের আলোয় আলোকিত হোক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভের মাধ্যমে আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করলে উন্নয়ন, সুশাসন, শান্তি ও প্রগতির প্রতীক হিসেবে নিবেদিত থাকবো। লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসীর পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি। সর্বোপরি লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েই আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। এজন্য আমি আমার প্রাণপ্রিয় কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের বিএনপিপ্রেমীসহ এখানকার প্রতিটি মানুষের আন্তরিক ভালোবাসা, সমর্থন, সহযোগিতা ও দোয়া চাই। পাশে থাকুন, পাশে রাখুন; প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আপনার, আমার, সকলের স্বপ্নের লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে বদলে দিব।