শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

মহানবী (সা.) ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন: তারেক রহমান

  • আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ দেখেছেন :

অনলাইন ডেক্স 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মহানবী (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ।

তারেক রহমান বলেন, মহানবী (সা.) সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তা’আলা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

তিনি বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসূলের (সা.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দু:খ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যার আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন।

তারেক রহমান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এই দিনটি নবীজির জীবনে মূল্যবোধ, যেমন সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, বিশ্বমানবের নিকট এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত হযরত মোহাম্মদ (সা.)। তার কালজয়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি মানবজাতির নিকট এক পরম শিক্ষা হয়ে থাকবে। কৈশোরকাল থেকেই তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি কোনদিন আমানতের খেয়ানত করেননি, অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য বলে মনে করতেন। বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহানবী (সা.)।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি তাওহীদের বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মহানবীর (সা.) উপর অবতীর্ণ করেন, যা মানব জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তার জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মুসলিমরা শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠাসহ নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার অনুপ্রেরণা পায়। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রতি সালাম জানাই।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনন্য ক্যাটাগরির সংবাদ
© All rights reserved © Comillakantha.com
Theme Customized By Mahfuz