
স্টাফ রিপোর্টার :
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার ৩ ঘন্টার মধ্যেই ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের ৪০ মামলার আসামি খাইরুল হাসান ও তার দুই সহযোগী। এসময় তাদের নিকট হতে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের একটি দল নগরীর টমছমব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষ্যে পুলিশের বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় যানবাহন তল্লাশীকালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে যাত্রীবেশী সশস্ত্র সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা চালায়। এসময় ইপিজেড ফাঁড়ির এসআই খাজু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ওই সিএনজিতে থাকা ৫ সন্ত্রাসীর মধ্যে অস্ত্রসহ খাইরুল হাসান (৩০) ও তার দুই সহযোগী সন্ত্রাসীকে আটক করে। এ সময় ২ সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার খাইরুল হাসান নগরীর শ্রীবল্লভপুর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত অপর দুই সন্ত্রাসী হচ্ছে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানাধীন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বহুরুপা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ (২৮) ও চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা (৩৫)।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, জেলখানা ও জেলখানার বাইরে ওই সন্ত্রাসী চক্রের শক্তিশালী গ্যাং রয়েছে। খায়রুল হাসান জেলখানায় থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকালে তারা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়। এদের মধ্যে খাইরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাইসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে ৪০টি, রিয়াদের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির ধারায় আরও দুইটি মামলার পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হাসান, ডিআইও-১ মামুনুর রশিদ, ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।